ঐক্য
ভারত বৈচিত্র্যের দেশ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, নানা সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, পরিধেয়, উত্সব এই দেশকে সমৃদ্ধ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টি,একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি হিসাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি একটি স্বনির্ভর ভারতের ভিত্তি রচনা করছে। এই কারণেই ২০২২ সালে৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী যে পঞ্চপ্রাণগুলি উল্লেখ করেছিলেন তার মধ্যে 'ঐক্য' অন্যতম৷ এই সাধারণ লক্ষ্যগুলিকে মাথায় রেখে, আমরা একত্রিত হয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসাবে এগিয়ে যাব, স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত ১০০বছর পূর্তির দিকে!
ইতিহাস এবং সংস্কৃতি
আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষাদান; ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান; আবিষ্কার এবং উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান; সম্প্রদায় আত্তীকরণ; প্রাচীন জ্ঞান পদ্ধতি যেমন আয়ুর্বেদ, গণিত, জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতনতা।
- সীমান্ত গ্রাম এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল: ভারতের উপকণ্ঠে অবস্থিত গ্রামগুলির উন্নয়ন, স্থানীয় কারিগর এবং কারুশিল্পের প্রচার, আঞ্চলিক খাবারগুলিকে জনপ্রিয় করা, আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে মূলধারায় আনা, সীমান্ত গ্রামগুলিতে পর্যটন অর্থনীতির প্রচার ইত্যাদি।
- এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত: নানা ভাষা, নানা রন্ধনপ্রণালী, নানা পরিধান, বিবিধ উৎসব, লোকনৃত্য, খেলাধুলা, থিয়েটার, চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্র, পর্যটন বিনিময় সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান; টেকসই সাংস্কৃতিক যোগাযগ বৃদ্ধি,; সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন;সৌভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের প্রচার ইত্যাদি
- বাধীনতা সংগ্রামী এবং অখ্যাত বীরেরা: স্বল্প পরিচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান জানানো, দেশের যুবকদের অনুপ্রাণিত করা, বিভিন্ন জনজাতীয় নেতা এবং আন্দোলন সম্পর্কে জানা, সাহসী বীরদের নীতি ও গুণাবলী স্মরণ করা ইত্যাদি।
- বিভিন্ন জনজাতীয় সম্প্রদায়: বিভিন্ন জনজাতীয় কারুশিল্প, চিত্রশিল্প, বস্ত্রশিল্প, মৃৎশিল্প, জৈব এবং প্রাকৃতিক উপজাতীয় খাদ্য পণ্যের প্রচার; নানা জনজাতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে সচেতনতা; আধুনিক প্রযুক্তির পরিচিতি; তাঁদের দক্ষতা এবং কারুশিল্প সহ উপজাতীয় জীবনধারার সামাজিক-সাংস্কৃতিক দিক সম্পর্কে সচেতনতা; এই সম্প্রদায়ের দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি
- গ্রামীণ কারিগর: স্থানীয় শিল্পকলা এবং কারিগরদের তুলে ধরা এবং তাঁদের শিল্পকৃতির সংরক্ষণ, এই শিল্পধারাগুলিকে কেন্দ্র করে শিক্ষাদানের পাঠক্রম, বিপন্ন শিল্পধারার প্রচার ইত্যাদি।
- খেলাধুলা: স্থানীয় এবং আঞ্চলিক খেলাধুলার প্রচার, তরুণদের খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে গড়া নিয়ে সচেতনতা, খেলাধুলায় লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করা, প্রতিভা বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধি, কাবাডির মতো পুরানো খেলার সংরক্ষণ ইত্যাদি।
- সিনেমা এবং সঙ্গীত: আঞ্চলিক সুর এবং শিল্পের প্রচার, আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয় করা, স্থানীয় শিল্পীদের উন্নীত করা, থিয়েটারের পুনর্গঠন ইত্যাদি।
- যুবসম্প্রদায় ও জাতি গঠন: তরুণদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার জন্য মঞ্চ প্রদান; জাতীয় দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা; বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতনতা; স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা; নানা যুব-কেন্দ্রিক বিষয় (সুদূরপ্রসারী ভাবনাচিন্তা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, প্রজনন স্বাস্থ্য, জল সংরক্ষণ ইত্যাদি); দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা; সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ; পেশা বাছার পরামর্শ, শিল্পদ্যোগ এবং যুব-নেতৃত্বাধীন স্টার্ট আপ; আধ্যাত্মিকতা; পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ সম্পর্কে সচেতনতা; ডিজিটাল সাক্ষরতা; আর্থিক সাক্ষরতা ইত্যাদি
- গৃহস্থালী পর্যায়ে প্রচার – দৈনন্দিন কর্মসূচির পাশাপাসহ প্রচারাভিযান: উদাহরণস্বরূপ, চায়ে পে চর্চা
- ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে (১৫ই আগস্ট ২০২২) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতার সময় 'পঞ্চ প্রাণ'-এর বিশদ বিবরণ দেন:
- উন্নত ভারতের লক্ষ্য: একটি বড় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়া - যা একটি উন্নত ভারতের থেকে কম কিছুর জন্য লক্ষ্য স্থির না করে এগিয়ে যাওয়া
- ঔপনিবেশিক মানসিকতার যে কোনও চিহ্ন মুছে ফেলা: আমাদের অস্তিত্বের কোনও অংশে, এমনকি আমাদের মনের বা অভ্যাসের গভীরতম কোণেও যেন ঔপনিবেশিক দাসত্ব ও অত্যাচারের বিন্দুমাত্র অবশেষ না থাকে!
- আমাদের শিকড় নিয়ে গর্ব করা: আমাদের ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকার নিয়ে আমাদের গর্ব বোধ করা উচিত কারণ এটি সেই উত্তরাধিকার যা অতীতে ভারতকে তার সোনালি অতীত দিয়েছিল এবং এই উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে আমরা আরও উন্নত জাতি গঠন করব।
- ঐক্য: আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিত করা
- নাগরিকদের মধ্যে কর্তব্যবোধ: জাতির প্রতি কর্তব্যবোধ এবং এর অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য প্রচেষ্টা করা
- অন্যান্য ক্ষেত্র: নাগরিকদের পরস্পরের মধ্যে সংলাপ এবং সংহতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারণা
read more